বাংলাদেশের চলমান সংকট নিরসনে করণীয়…
পর্ব..২ বিষয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
জনগণের কাছ থেকে ফোন পাওয়া তথ্য ও গণমাধ্যমের আর সামাজিক মাধ্যমের খবর পয্যালোচনা করলে সহজে বলা যায় স্বাস্থ্য বিভাগের দূর্নীতি ও কর্মকর্তাদের কাজে অবহেলা অগ্রহন যোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত। গতকাল আমার এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সাথে কৌশল বিনিময়ে জানতে পারলাম তার পাঁচ মাস বয়সের বাচ্চাটির পায়খানা হচ্ছেনা এবং গায়ে সামান্য জ্বর। মফস্বল শহরের ডাক্তারকে দেখানোর পর ৫০০ টাকা ফি নিয়ে তার চেম্বারে রক্ত পরীক্ষা ও এক্সরে করায়ে আরও ১০৮০ টাকা নিয়ে বললো দু’ঘন্টা পর এসে রিপোর্ট দেখায়ে ঔষধ নেওয়ার জন্য, আমরা সাংবাদিক, রোগের চিকিৎসা বিষয়ে জ্ঞান থাকার কথা নয়, কিন্তু মানুষ হিসাবে বিবেচনা করলে এ বিযয়ে ডাক্তার বাচ্চাটিকে পায়খানার ঔষধ দিয়ে দুই একদিন অবস্থা দেখে টেষ্ট করাতে পারতো তাছাড়া পায়খানা না হাওয়ার সাথে এক্স-রের সম্পর্ক কি তা আমাদের বোধগম্য নয়, আরও চিন্তার বিষয় পাঁচ মাসের বাচ্চার বুকের এক্স-রে যে রেডিয়েশন বিচ্ছুরন ঘটবে রোগের চেয়ে ক্ষতির পরিমান বেশি ঐ ডাক্তার কি বুঝতে পারছে? না তার প্রয়োজন ৫০০+১০৮০= ১৫৮০ টাকা। চিকিৎসা ক্ষেত্রে জনগণকে নাজেহাল করার জন্য কি রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধান দায়ী? মোটেই না। হাজার হাজার ভুয়া ডাক্তারে চেয়ে গেছে দেশ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনে প্রতি জেলায় একজন করে সিভিল সার্জন নামের একজন কর্মকর্তা, তার কাজ হলো জেলার চিকিৎসা ক্ষেত্র দেখবাল করা, অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিকার করা, তিনি যদি নিয়মিত দেখবাল করেন ডাক্তার কতৃক রোগীদের হয়রানি অনর্থক টেষ্ট করানো, ভুয়া ডাক্তার চিন্হিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করলে জনগণ অবশ্যই সুষ্ঠু সেবা পেতে কোনো অসুবিধা হতোনা….। প্রশ্ন তিনি কি দায়িত্ব পালন করছেন? আমরা বলবো না, তবে কেনো? এসব অনৈতিক চিকিৎসার ও ভুয়া ডাক্তারের কাছ থেকে তিনি বড় অংকের মাসহারা গ্রহন করছেন যাকে বলা যায় চেইন অব কমান্ড। মন্ত্রী মহোদয় এর কাজ কি শুধু সচিবালয়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে বদলি আর বরাদ্দের কাজ করা? তিনি কি সংশ্লিষ্টদের নির্দশ ও এসব মনিটরিং করছেন? মনে হয়-না, করলে এতসব অনিয়ম থাকেনা এবংজনগণ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হতোনা বা হবেনা। মন্ত্রীর সততা ও কঠোর অবস্থান এবং নিয়মিত মনিটরিং এর সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারে।…. চলবে–#Editor nsnews USA