Ns News Online Desk: বুধবার রাতে পালিত হবে পবিত্র শবে মেরাজ। এ রাতে অলৌকিকভাবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঊর্ধ্বাকাশে গমন করে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। জিকির-আসকার, নফল নামাজ, দোয়ার মধ্য দিয়ে শবে মেরাজের রাত অতিবাহিত করেন মুসলমানরা।
হাদিস ও সাহাবিদের বর্ণনা অনুযায়ী, মেরাজের রাতে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) রাসুল (সা.) নিয়ে কাবা শরিফের হাতিমে যান। জমজমের পানিতে অজুর পর বোরাক নামক বাহনে জেরুজালেমের বায়তুল মুকাদ্দাসে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। এরপর প্রথম আকাশে পৌঁছান মহানবী (সা.)। সেখানে হজরত আদম (আ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এভাবে সাত আকাশ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে সাক্ষাৎ করেন হজরত ঈসা (আ.), হজরত ইয়াহইয়া (আ.), হজরত ইদ্রিস (আ.), হজরত হারুন (আ.), হজরত মুসা (আ.) এবং হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সঙ্গে।
সপ্তম আকাশ থেকে সিদরাতুল মুনতাহায় গমন করেন মহানবী (সা.)। সেখান থেকে আরশে আজিম যান। এক ধনুক দূরত্ব থেকে আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয় মহানবী (সা.)-এর উম্মতদের জন্য।
মেরাজ শেষে পৃথিবীতে ফিরে রাসুল (সা.) পুরো ঘটনা হজরত আবু বকর (রা.)-এর কাছে বর্ণনা করেন। তিনি নিঃসংশয়ে তা বিশ্বাস করেন। রাসুল (সা.) তাকে সিদ্দিকী বা বিশ্বাসী খেতাব দেন। মক্কার কাফেররা রাসুলের মেরাজের ঘটনাকে অবিশ্বাস করে।
শবেমেরাজ উপলক্ষে বুধবার আসরের নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘লাইলাতুল মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও দোয়ার আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। দেশের প্রতিটি মসজিদে বাদ মাগরিব দোয়া ও বিশেষ বয়ান করা হবে। বিশ্ব সুন্নি আন্দোলন শবে মেরাজ উপলক্ষে বুধবার সকালে রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মাহফিল ও দুপুরে সেখান থেকে হাইকোর্ট মাজার পর্যন্ত শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। এই রাতে জিকির-আসকার, নফল নামাজ, দোয়ায় নিয়োজিত থাকা অনেক ফজিলত, তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এই রাতকে গুরত্বের সাথে পালন করে থাকেন।