Ns News Online Desk
https://youtu.be/ZWCnczmIecQ?t=99
https://youtu.be/Vo-MUOlBqMQ
ও হ্যঁ –
বিশ্ব মড়লদের কথা বলছিলাম-।
তাদের অস্রের মজুত যখন বাড়তে থাকে তখন তাদের মেয়াদকাল শেষ হওয়া অস্র ধ্বংস করার জন্য এবং এসব বিক্রি করার সুযোগ নিয়ে দেশে দেশে সংঘাত সৃষ্টি করে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে ঐসব অস্র অসহায় মানুষের উপর প্রয়োগ করে অমানবিকভাবে হত্যা করে নিজদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ফায়দা লুটে নেয় এবং নিচ্ছে। এরা আবার উচ্চ কণ্ঠে আওয়াজ তোলে তারা মানবতাবাদী, তারাই মানবতা বিরোধী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে অন্যদের মানবাধিকার লঙনকারী আখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। এসব মোড়লগণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন ইরাক আক্রমণ করে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শিষ্য নেতাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে, ধ্বংস করে দিয়েছে দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ভিত্তি। লিবিয়ার মানুষের সুখ কেড়ে নিয়ে তাদের প্রিয় নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, এখানে মানবাধিকার লঙিত হয়নি? সিরিয়াকে ধ্বংস করার নামে দেশটিকে ধ্বংস স্তুুপে পরিণত করেছে,শিশুসহ লাখ লাখ নিরীহ মানুষের প্রাণ হরন করছে, এসব তাদের চোখে মানবাধিকার লঙন নয়। সৌদিআরব ও তার মিত্রদের লেলিয়ে দিয়ে গরীব মুসলিম দেশটির উপর আক্রমণ করে শিশুসহ হাজারো নিরীহ মানুষকে খুন করে দেশটিকে আরও গরীব করে দিচ্ছে, সৌদিআরব মোড়লদের আশকারায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। একদিন হয়ত তাদেরকেও ইরাকের পথে যেতে হতে পারে। আফগানিস্তান একটা সুন্দর, সাবলীল ও অর্থনৈতিকভাবে ভালই চলছিলো, মোড়লদের চোখ সেখানও পড়লো, তালেবান সরকার আখ্যা দিয়ে দখল নিয়ে পুতুল সরকার বসিয়ে বছরের পর বছর দখলদারিত্ব করে পূনরায় ঐ তালেবানদের হাতে তুলে দিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে, দেশটির সামাজিক, আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে অনেক পিছিয়ে দিলো, এখানেও এদের মেয়াদোর্থীন অস্রগুলো ব্যবহার করে পুতুল সরকারের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এবার এদের গণতন্ত্রের নমূনা দেখুন – এরা নিজেদের গণতন্ত্রের মোড়ল হিসাবেও প্রকাশ করে, এবং তারা স্বৈরাচার, দখলকার, অগণতান্ত্রিক দেশ বিরোধী, এই বিষয়টি অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য-একটি উদাহরণই এই মোড়লদের নির্লজ্জতার প্রমাণ মিলে যায়- মিশরের গণতান্ত্রিক সরকারকে হঠিয়ে সেখানে সামরিক সরকার বসিয়ে ঔ সরকারকে সর্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে এটাই তাদের গণতন্ত্রের নমূনা – তাহলে সহজে বুঝা যায় মোড়লদের, মানবতাবাদ, রাজনীতি, অর্থনীতির সংজ্ঞা কি রকম, তবে এখানে মোড়ল বলতে বিশ্বের ক্ষমতাধর নেতাদের বুঝাচ্ছি জনগণকে নয়, জনগণ সবসময় শান্তির পক্ষে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখে। বিশ্ব একদিন ধ্বংস হবে এটা নিশ্চিত, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কতৃক ধ্বংসের আগে বিশ্ব মোড়লেরা বিশ্বকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে চলেছে এর দায়বার কারা নিবে? নিশ্চয় অসহায় মহান সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ জীব মানব সভ্যতা নয়, গুটি কয়েক কথিত মোড়লেরাই।
তারা নিজেরাও বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যৎ আবাস বিষয়ে অবহিত থাকার কথা। ঘুর্ণয়ম পৃথিবীর গতি যদি এক সেকেন্ডের জন্য ধীর হয়ে যায়, তাহলে বিশ্বের ধ্বংস নিশ্চিত, অথচ এসব মোড়লেরা এক সেকেন্ড ধীরগতির আগেই তা কার্যকর করার পথে অগ্রসর হচ্ছে যা মহান সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের কাম্য নয়, আসুন আমরা সবাই আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য সুন্দর ও শান্তির পৃথিবী বিনির্মাণ করে যাই এই আকুল আবেদন সকল মোড়লদের কাছেও। Editor nsnews USA.